কক্সবাজারের চকরিয়ায় বোরো ধান তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা। বোরো ধান কাটার সময় কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছে। বোরো ধান কাটার সময় কৃষকগণ আবহাওয়া নিয়ে উৎকন্ঠ থাকে। বৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে বোরো ধানের অনেক ক্ষতি হয়। তবে কৃষকগণ প্রকৃতির উপর নির্ভর করে বোরো ধান ঘরে তুলার কাজ শুরু করে।
চকরিয়ার প্রান্তিক কৃষক জয়নাল আবেদীন বলেন, এবার বোরো ধান চাষে ভালো ফসল উৎপাদন হয় নাই। পানি লবণাক্ত হওয়াতে বোরোধান চাষ ভালো হয় নাই। এক কানি বোরো ধান চাষ করতে খরচ হয়েছে ২৪/২৫ হাজার টাকা করে কিন্ত সে পরিমান ধান উৎপাদন হয় নাই। ফলে এবার বোরোধান চাষে লোকসান থাকার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে।
আরেক প্রান্তিক কৃষক জিয়া উদ্দিন জিয়া বলেন, আমি লেখা পড়ার পাশাপাশি ধান চাষ করি। এবার বোরো ধান চাষে উৎপাদন ভালো হয়েছে। কিন্তু সিন্ডিকেটের কারণে আমরা ধানের দাম বেশি পায় না। বাজারে চাল দাম বৃদ্ধি পেলেও সে তুলনায় ধানের দাম বেশি বৃদ্ধি পায় না। তাই আমি সরকারের প্রতি অনুরোধ করব চালের বাজারের সিন্ডিকেটমুক্ত করে ধানের দাম বৃদ্ধি করার জন্য।
ঢেমুশিয়ার কৃষক মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, বোরোধান চাষ করে আমাদেরকে উৎপাদন খরচ তুলতে অনেক হিমশিম খেতে হয়। বোরোধান ঘরে তুলার সময় ধানের দাম কমে যায় ফলে আমাদেরকে লোকসান দিতে হয়। এমতাবস্থায় সরকারকে কৃষকদের প্রতি নজর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস.এম. নাসিম হোসেন বলেন, চকরিয়া উপজেলায় ১৭ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষের লক্ষ্যামাত্রা অর্জন করা হয়েছে। প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা করার জন্য উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগণ করে যাচ্ছে। এছাড়া প্রান্তিক কৃষকদের সরকারের পক্ষে থেকে বিভিন্ন উপরকরণ দিয়ে সহযোগিতা করে থাকি।
মন্তব্য করুন