কক্সবাজার জেলার টেকনাফ পৌরসভাস্থ ঝর্ণা চত্বরের মিল্কি রিসোর্ট এর সামনে বিশেষ টহল ও চেক পোস্ট অভিযান পরিচালনাকালে মাদক ক্রয়ের ৭,৬৮,০০০ (সাত লক্ষ আটষট্টি হাজার ) টাকা, তিনটি মোবাইল ফোন ও একটি মোটর সাইকেলসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫
সম্প্রতি দেশে হঠাৎ ছিনতাই চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। র্যাব-১৫ এর দায়িত্বাধীন এলাকা কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলায় এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। র্যাব-১৫ এর সদস্যগণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় অস্ত্র উদ্ধার, জলদস্যু, ডাকাত, চুরি-ছিনতাই, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক, অপহরণ ও দেশে বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এসব অপরাধে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসাসহ পর্যটন নগরীতে আগত দেশী-বিদেশী পর্যটক ও স্থানীয় জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করতে সার্বক্ষনিকভাবে র্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারী অব্যাহত আছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৫ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল টেকনাফের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও মোড়ে ক্রমাগত অভিযান পরিচালনাসহ টহল ও চেকপোস্ট করে ০৯ মার্চ-২০২৫খ্রিঃ কক্সবাজার জেলার টেকনাফ পৌরসভাস্থ ৩নং ওয়ার্ডের মিল্কি রিসোর্ট এর সামনে চেকপোস্ট করাকালীন লিংক রোডগামী একটি মোটর সাইকেলকে থামিয়ে মোটর সাইকেল সন্দেহভাজনভাবে থামানো হয়। আরোহীদের মধ্যে ০২ জনকে আটক করা হয় এবং অপর ব্যক্তি পালিয়ে যায়। তল্লাশি করে তাদের নিকট হতে নগদ মাদক ক্রয়ের ৭,৬৮,০০০ (সাত লক্ষ আটষট্টি হাজার) টাকা, তিনটি মোবাইল ফোন ও একটি মোটর সাইকেল আটকসহ উদ্ধার করা হয়। ধৃত আসামীর মোবাইল ফোনে পলাতক আসামী(নিজাম উদ্দিন)’র মাদক ক্রয় বিক্রয়ের অডিও রেকর্ড পাওয়া যায়।
গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীরা হলেন-
সাইদুল হোসেন (৩৫), পিতা-মৃত মোস্তফা, মাতা-মৃত ফাতেমা বেগম,
আনোয়ার হোসেন (৩৬), পিতা-মোঃ সফি, মাতা-রেজিয়া বেগম
উভয়সাং-পশ্চিম চাকমারকুল, ডেইঙ্গাপাড়া, ৯নং ওয়ার্ড, চাকমারকুল ইউপি, থানা-রামু, জেলা-কক্সবাজার।
গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীদেরকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে টেকনাফ থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন