তেল আবিবে নিজের অ্যাপার্টমেন্টে ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন ইসরায়েলি তরুণী মিয়া শেম। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে হামাস যাদের জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গিয়েছিল, তাদের একজন তিনি। খবর দেশটির সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইয়েলের।
মিয়া শেম সেদিন ইসরায়েলে নোভা মিউজিক ফেস্টিভ্যালে উপস্থিত ছিলেন এবং ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠনটির যোদ্ধাদের গুলিতে আহত হন। গুলি তার হাতে লেগেছিল।
হামাসের হাতে বন্দি থাকার সময় ২৩ বছর বয়সী এই তরুণী ধর্ষণের শিকার হওয়ার আতঙ্কে থাকতেন। কিন্তু তাকে যে নিজ বাড়িতে এমন ঘটনার শিকার হতে হবে, তা তার কল্পনারও বাইরে ছিল।
ইসরায়েলের গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মিয়া তেল আবিবের একজন সুপরিচিত ফিটনেস ট্রেইনারের বিরুদ্ধে তাকে মাদক দেয়ার ও ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন। মিয়া এ বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে মার্চের শেষ দিকে ওই ট্রেইনারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত শনিবার (৩ মে) রাতে মিয়া শেম টেলিভিশন চ্যানেল ১২-তে একটি সাক্ষাৎকার দেন। সেখানে তিনি নিজ অ্যাপার্টমেন্টে ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ নিয়ে বলেন, আমি সত্য প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। লুকিয়ে থাকাদের দলে আমি নই।
তিনি আরও বলেন, সারাজীবন এটাই আমার সবচেয়ে বড় ভয় ছিল– জিম্মি হওয়ার আগে, জিম্মি থাকার সময়। জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর যেখানে আমার সবচেয়ে নিরাপদ থাকার কথা, সেখানেই আমার সঙ্গে এটা ঘটেছে।
জিম্মি হওয়ার ৫৫ দিন পর যাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছিল, তাদের একজন মিয়া শেম। ২০২৩ সালের নভেম্বরে প্রথম যুদ্ধবিরতির সময় প্রায় ১০০ জিম্মি মুক্তি দিয়েছিল হামাস।
মন্তব্য করুন