কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার আজ ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ২০০২ সালের ২৭ এপ্রিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া পেকুয়া উপজেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। সে সময় বিএনপির নেতৃত্বধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমেদর প্রচেষ্টায় এ পেকুয়া উপজেলা প্রতিষ্ঠা হয়। ফলে তিনি হচ্ছেন এ পেকুয়া উপজেলা প্রতিষ্ঠাতা।
পেকুয়া উপজেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পেকুয়া প্রেসক্লাব ও পেকুয়া স্পোর্টিং ক্লাব অনেক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। পেকুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ছফওয়ানুল করিমের নেতৃত্বে ২৭ এপ্রিল রাত ১২ টা ০১ মিনিটের সময় কেক কেটে পেকুয়া উপজেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কার্যক্রম শুরু করে।
পেকুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ছফওয়ানুল করিম বলেন, পেকুয়া উপজেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা অনেক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। এ পেকুয়া উপজেলার প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি আজ থেকে ২৩বছর আগে এ পেকুয়া উপজেলা প্রতিষ্ঠা করে আমাদেরকে বিশ্বদরবারে পরিচয় করে দিয়েছে সে জন্য তার সম্মানার্থে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, পেকুয়া উপজেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিকালে একটা বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করছি। উক্ত র্যালিতে পেকুয়া উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। এরপর আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
পেকুয়া উপজেলা প্রতিষ্ঠা হওয়ার থেকে পেকুয়ার গ্রামীণ জনপদ গুলোতে অবিশ্বাস্য উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে। পিছিয়ে পড়া ইউনিয়নগুলোর অনেক উন্নয়ন হয়েছে।
উল্লেখ্য, পেকুয়া উপজেলা ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। ইউনিয়নগুলো হল পেকুয়া সদর, রাজাখালী, মগনামা, টইটং, বারবাকিয়া, শিলখালী ও উজানটিয়া। এগুলো পেকুয়া উপজেলা প্রতিষ্ঠা হওয়ার আগে চকরিয়া উপজেলার অধীনস্হ ছিল।
মন্তব্য করুন