উপকূলীয় ভাঙনের ভয়াবহতা থেকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া ও মহেশখালী উপজেলাকে রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের আহ্বান জানিয়েছেন কক্সবাজার-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ড. এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বরাবর পাঠানো এক লিখিত স্মারকে (স্মারক নং: ৮১৩, তারিখ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫) তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ উপকূলের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে পরিচিত কুতুবদিয়ায় প্রতি বছর ভয়াবহ ভাঙনের ফলে দ্বীপটির আকার আশঙ্কাজনকভাবে ছোট হয়ে এসেছে।
১৯৬০ সালে কুতুবদিয়ার আয়তন ছিল প্রায় ১২৫ বর্গকিলোমিটার, যা বর্তমানে ভেঙে ও ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৬২ বর্গকিলোমিটারে। সমুদ্রের লবণাক্ত পানি ফসলি জমি ও লোকালয়ে প্রবেশ করে জনজীবনে চরম বিপর্যয় সৃষ্টি করছে।
স্মারকে আরও উল্লেখ করা হয়, মহেশখালীর মাতারবাড়ি ও ধলঘাটা ইউনিয়ন এবং মহেশখালী পৌরসভার ০৮নং ওয়ার্ডের পূর্বাংশ ইতোমধ্যে ভাঙনের কবলে পড়েছে। এ অঞ্চলে নির্মাণাধীন গভীর সমুদ্র বন্দর ও অর্থনৈতিক অঞ্চলের মতো মেগা প্রকল্পগুলোও সমুদ্র ভাঙনের কারণে মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
ড. হামিদুর রহমান আযাদ স্মারকে বলেন,
“কুতুবদিয়া দ্বীপের অস্তিত্ব রক্ষা এবং মাতারবাড়ি-ধলঘাটা অঞ্চলের জনবসতি ও অর্থনৈতিক অবকাঠামোকে রক্ষা করতে হলে আসন্ন বর্ষার পূর্বে বাধ সংস্কার না করলে অধিকাংশ এলাকা সাগরের পানিতে তলিয়ে যাবে। ফসল ও লোকালয়ের ব্যাপক ক্ষতি হবে। তাই বর্ষার পূর্বে…
স্থায়ী ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ অত্যাবশ্যক।”
তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।
বিশেষজ্ঞদের মতে, উপকূলীয় এলাকাগুলোতে প্রতিবছরের ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও উচ্চ জোয়ারের ফলে ভাঙন প্রকট আকার ধারণ করছে। যথাযথ পরিকল্পনা ও দীর্ঘমেয়াদি অবকাঠামোগত বিনিয়োগ ছাড়া এই অঞ্চলগুলোর টিকে থাকা ভবিষ্যতে কঠিন হয়ে পড়বে।
আসন্ন বর্ষার পূর্বে বাধ সংস্কার না করলে অধিকাংশ এলাকা সাগরের পানিতে তলিয়ে যাবে। ফসল ও লোকালয়ের ব্যাপক ক্ষতি হবে। তাই বর্ষার পূর্বে… শুরু হওয়াস্থায়ী ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ অত্যাবশ্যক।”
তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।
বিশেষজ্ঞদের মতে, উপকূলীয় এলাকাগুলোতে প্রতিবছরের ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও উচ্চ জোয়ারের ফলে ভাঙন প্রকট আকার ধারণ করছে। যথাযথ পরিকল্পনা ও দীর্ঘমেয়াদি অবকাঠামোগত বিনিয়োগ ছাড়া এই অঞ্চলগুলোর টিকে থাকা ভবিষ্যতে কঠিন হয়ে পড়বে।
মন্তব্য করুন