সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার খলাছড়া ইউনিয়নের লোহারমহল গ্রামের ৬ তরুণ, যারা ১৫ এপ্রিল কক্সবাজারে রাজমিস্ত্রির কাজের জন্য গিয়েছিলেন, অবশেষে টেকনাফের রাজারছড়া এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছেন। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ ছিল যে, ১৬ এপ্রিলের পর থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
নিখোঁজ তরুণরা হলেন: ১. রশিদ আহমদ (২০), মৃত লুকুছ মিয়ার ছেলে
২. মারুফ আহমদ (১৮), ফারুক আহমদের ছেলে
৩. শাহিন আহমদ (২১), আজির উদ্দিনের ছেলে
৪. এমাদ উদ্দিন (২২), মৃত দুরাই মিয়ার ছেলে
৫. খালেদ আহমদ (১৯), ইউপি সদস্য ছফর উদ্দিনের ছেলে
৬. আব্দুল জলিল (৪০), মৃত সরবদির ছেলে
জকিগঞ্জ থানার পুলিশ ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের তৎপরতায় এই তরুণদের উদ্ধার করা হয়। ২২ এপ্রিল স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিখোঁজদের খোঁজে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে, টেকনাফের রাজারছড়া এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। অভিযানের বিস্তারিত সম্পর্কে জানাতে গিয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, তরুণরা অপহরণের শিকার হয়েছিলেন, তবে এখন তারা নিরাপদ এবং সুস্থ অবস্থায় আছেন।
এ ব্যাপারে কক্সবাজারের পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “তাদের উদ্ধারের জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছে এবং আমরা অত্যন্ত খুশি যে, তরুণরা নিরাপদ অবস্থায় তাদের পরিবারের কাছে ফিরেছেন।”
এছাড়া, তারা জানান যে, অপহরণের কারণ ও এর পেছনে যাদের হাত ছিল, সে ব্যাপারে তদন্ত চলমান রয়েছে।
উদ্ধার হওয়া তরুণদের পরিবারের সদস্যরা এই ঘটনার পর গভীর স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তাদের এক সদস্য জানান, “আমরা খুবই চিন্তিত ছিলাম, কিন্তু পুলিশ এবং প্রশাসনের সহায়তায় আমাদের সন্তানরা ফিরে এসেছে, এজন্য আমরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।”
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ওই তরুণরা কক্সবাজারে এসে একটি নির্মাণ প্রকল্পে রাজমিস্ত্রির কাজ করার জন্য এসেছিলেন। তবে, তাদের নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে এলাকায় ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি হয় এবং তাদের খোঁজে পুলিশ ও স্থানীয়রা তৎপর হয়ে ওঠে।
এ ঘটনায় এলাকাবাসীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একত্রিত হয়ে কাজ করেছেন এবং এর মাধ্যমে দ্রুত উদ্ধার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
মন্তব্য করুন