কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কেবি জালাল উদ্দিন সড়কে বিভিন্ন জায়গায় অংসখ্য গর্তে ভরা,যা একবারে বেহাল দশায় অবস্থায় পরিণত হয়েছে।
চকরিয়া থানা রাস্তার মাথা থেকে শুরু করে লালব্রিজ (কবি জালাল উদ্দিন সড়ক)পর্যন্ত সড়কে অসংখ্য ছোট বড় গর্তে ভরপুর। এতে পথচারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে।
সরেজমিনে দেখা যায়,চকরিয়া থানা রাস্তার মাথা থেকে বদরখালী বাজার পর্যন্ত সড়কের দৈর্ঘ্য ১৭ কিলোমিটার, এর মধ্যে প্রায় ১১ কিলোমিটার অংশে বিভিন্ন জায়গায় অংসখ্য গর্তে ভরা যা সড়ক দুর্ঘটনার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ ঝুঁকি রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চকরিয়ায় কেবি জালাল উদ্দিন সড়কের বিভিন্ন অংশে যে খারাপ অবস্থা হয়েছে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সামনে বর্ষার মৌসুম সে জন্য সড়কের ভাঙ্গা অংশ গুলো দ্রুত সময়ে মেরামত করা ছাড়া উপায় নাই। পথচারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকার আসে আর যায় কিন্তু এ সড়কের প্রতি কোন নজর দেই না।
শাহারবিল ইউনিয়নের বাসিন্দা মনজুর আলম বলেন, কেবি জালাল উদ্দিন সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি চলাচল করে। অর্থাৎ এ সড়কটি চট্টগ্রাম, মহেশখালী, মাতারবাড়ি বন্দর,মগনামা ও কুতুবদিয়া উপজেলার সাথে সংযুক্ত। সুতরাং এ সড়কটি জনবহুল সড়ক হিসেবে বিবেচিত। তাই তিনি সড়ক ও জনবিভাগকে দ্রুত সময়ে মেরামত বা সংস্কার করে সড়কের বেহাল দশা থেকে জনগণকে রক্ষা করার জন্য অনুরোধ করে।
মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন জিয়া নামে এক কলেজ ছাত্র বলেন, সড়ক দিয়ে প্রতিদিন আমরা কলেজে যায়, কিন্তু সড়কের অনেক জায়গা যেভাবে গর্তে ভরা সামান্য বৃষ্টি হলে সড়ক দুর্ঘটনা হয়ে পথচারীদের মৃত্যুর ঝুকি রয়েছে।
কারণ, এ সড়ক দিয়ে বিভিন্ন রোগী হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং অনেক কেজি স্কুলের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। তাই সরকারকে এ সড়কের প্রতি সুনজর দেওয়ার জন্য আবেদন করছি।
মোজাম্মেল হক সওদাগর নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, দোকানের জন্য এ সড়ক দিয়ে আমরা মালামাল আনি,কিন্তু মালামালবাহী গাড়ি গর্তে পড়ে গেলে উল্টে যায়, সেজন্য আমাদের অনেক ক্ষতি হয়। বর্ষা মৌসুমের আগে সড়কটি দ্রুত মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ করছি।
চকরিয়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, কেবি জালাল উদ্দিন সড়কের যেসব জায়গায় গর্ত হয়েছে সেসব জায়গায় আরসিসি ঢালাই দেওয়া হবে। সেজন্য দরপত্র তৈরি করা হচ্ছে। দরপত্র তৈরি করে দ্রুত সময়ে টেন্ডার দেওয়া হবে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে মাস দেড়কের মধ্যে কাজ শুরু হবে।
তিনি আরো বলেন, সড়কের যে জায়গায় ছোট বড় গর্ত হয়েছে সেসব গর্ত গুলো কংকর দিয়ে ভরাট করে যান চলাচল ও পথচারীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা চাচ্ছি সড়কের গর্তভরা জায়গা গুলো আরসিসি ঢালাইয়ের মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান হউক।
মন্তব্য করুন