মহেশখালী-কক্সবাজার নৌঘাটে পল্টুন স্থাপন ও সি-ট্রাক চালুর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য ড. এ.এইচ.এম হামিদুর রহমান আযাদ।
তিনি এক অভিনন্দন বার্তায় বলেন, “মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন মহেশখালীর প্রায় সাড়ে চার লক্ষ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে নৌ যোগাযোগের চরম দুর্ভোগের মধ্যে ছিল। যাত্রীদের নিরাপদ যাতায়াতের কোনো নিশ্চয়তা ছিল না। পল্টুন স্থাপন ও সি-ট্রাক চালু করায় সেই দুর্ভোগ কিছুটা হলেও লাঘব হবে। তবে এটি এখনো স্থায়ী সমাধান নয়।”
তিনি আরও বলেন, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার মানুষের জানমাল নিরাপত্তা ও উন্নত যাতায়াতের লক্ষ্যে ফেরি সার্ভিস চালু জরুরি। এ বিষয়ে তিনি ইতোমধ্যেই যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ফওজুল কবিরের সঙ্গে আলোচনা করেছেন এবং আশ্বাস পেয়েছেন বলেও জানান।
ড. আযাদ বলেন, “মহেশখালী-কক্সবাজার নৌপথে উভয় পাশে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে দ্রুত ফেরি চালু করতে হবে। একইসঙ্গে কুতুবদিয়া ও মগনামা অংশেও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করে নৌপথে ফেরি যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে।”
তিনি মনে করেন, সি-ট্রাক ও ফেরি ব্যবস্থা সাময়িক সমাধান হতে পারে, তবে টেকসই সমাধান ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য কক্সবাজার-মহেশখালী ঘাটে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণ অপরিহার্য। তিনি বলেন, “এই দাবিটি মহেশখালীবাসী দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছে। আমিও বিভিন্ন সময় সভা-সমাবেশে এই দাবি তুলে ধরেছি এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে তা উপস্থাপন করেছি।”
ড. হামিদুর রহমান আযাদ আরও বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, বর্তমান সরকার জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারে কাজ করছে। ভবিষ্যতে যদি জনগণের ভালোবাসা ও সহযোগিতায় দেশের সেবা করার সুযোগ পাই, তবে মহেশখালী-কক্সবাজার সেতু নির্মাণকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করব, ইনশাআল্লাহ।”
মন্তব্য করুন