জৌলুস হারাচ্ছে হালখাতার আয়োজন। এখন আর গহনার দোকানে আগের মতো দেনাদার গ্রাহক নেই। ‘নগদ যা পাও হাত পেতে নাও, বাকির খাতা শুন্য থাক’— ওমর খৈয়ামের সেই কালজয়ী পঙক্তির চাক্ষুষ প্রমাণ মিলবে বায়তুল মোকাররমের কিছু স্বর্ণের দোকানে।
তারপরও নববর্ষের রেওয়াজ ধরে রাখতে রাজধানীর অনেক স্বর্ণের দোকানে চলছে হালখাতা উৎসব। তবে এইক্ষেত্রেও কমেছে নিমন্ত্রণের ব্যপ্তি।
ব্যবসায়ীরা জানালেন, চড়া দামের কারণে এখন বকেয়া রাখাই দায়। তারপরও গ্রাহক এলে আপ্যায়ন করা হচ্ছে। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে দোকানগুলোতে সাজসাজ রব।
আজ নতুন বাংলা বর্ষের দিন বিভিন্ন স্বর্ণের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, হালখাতার যুগ পেরিয়ে এখন সব হিসাব ডিজিটাল হলেও দোকানের অ্যাকাউনট্যান্ট বা ‘সরকার’-দের অনেকেই এখনও আগের অভ্যাস ছাড়তে পারেননি। তাই খাতায় লিখেই চলছে দেনা-পাওনার অঙ্ক। সবাই যে বকেয়া ফেরত দিতে আসছেন তা নয়। কেউ খুঁজছেন নতুন গহনা, কেউ-বা শুধুই আতিথিয়তার খোঁজে। অনেকে আবার টাকা দিয়ে ছুটিয়ে নিচ্ছেন বন্ধক রাখা গহনা। আর এসবই চলছে মিষ্টি, ফল আর উপহারের আপ্যায়নে।
উৎসবের আমেজ মিলবছে রাজধানীর মিষ্টির দোকানেও। নববর্ষ উপলক্ষ্যে সকাল থেকেই এখানে বেচাকেনার চাপ। পরিবার, স্বজন বা বন্ধুদের জন্য নানা রঙ আর স্বাদের মিষ্টি কিনছেন গ্রাহকরা। এর বাইরে করপোরেট অর্ডারের চাপও কম না।
গতানুগতিক মিষ্টির বাইরে, বাঙালিয়ানাকে মাথায় রেখে নতুন ধরনের সন্দেশ আর ছানা হাজির করেছে কিছু প্রতিষ্ঠান। তাতে উঠে এসেছে মাছ কিংবা পাখির অবয়ব। বিশেষ প্যাকেট বা ডালায় সাজিয়ে ক্রেতাদের দেয়া হচ্ছে এসব মিষ্টি। যদিও বিশেষ পণ্যের দাম নিয়ে আপত্তি আছে ক্রেতাদের।
পরিসংখ্যান বলছে, বৈশাখের বিকিকিনি মিলিয়ে প্রতি বছর হাতবদল হয় ৫ হাজার কোটি টাকা।
মন্তব্য করুন