ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য জেরে একজন ভারতীয় ব্যবসায়ী ও তাঁর চার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক ভারতীয় ওই ব্যবসায়ীর নাম জুগবিন্দর সিং ব্রার। তিনি ইরানের অপরিশোধিত তেল ও পেট্রোলিয়াম পণ্যের বাণিজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা—এমন অভিযোগ তুলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ দপ্তরের বৈদেশিক সম্পদ নিয়ন্ত্রণ–সংক্রান্ত কার্যালয় বলছে, জুগবিন্দর সিং ব্রার একাধিক শিপিং কোম্পানির মালিক। এসব কোম্পানিতে সব মিলে প্রায় ৩০টি জাহাজ আছে। এর অনেকগুলোই ইরানের কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ব্রার ও তাঁর যে চারটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো—ভারতভিত্তিক গ্লোবাল ট্যাংকার্স, বিঅ্যান্ডপি সলিউশনস এবং আরব আমিরাতভিত্তিক প্রাইম ট্যাংকার্স ও গ্লোরি ইন্টারন্যাশনাল। ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ, এই জাহাজগুলো ন্যাশনাল ইরানিয়ান অয়েল কোম্পানি (এনআইওসি) ও ইরানি সেনাবাহিনীর হয়ে তেল আনা নেওয়ার কাজ করত। এর আগেও ইরানের সঙ্গে তেল বাণিজ্যের সংশ্লিষ্টতার কারণে বেশ কয়েকটি ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। গত অক্টোবরে ভারতভিত্তিক গাব্বারো শিপ সার্ভিসেসকে ইরানি তেল পরিবহনে জড়িত থাকার অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এ ছাড়া রাশিয়ার আর্কটিক এলএনজি ২ প্রকল্প থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) পরিবহনে জড়িত থাকার অভিযোগে গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের নিবন্ধিত তিনটি শিপিং সংস্থাকে নিষেধাজ্ঞা দেয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের কৌশল হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইরানকে চাপে রাখতে গত তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর পাঁচ দফায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
গত ফেব্রুয়ারিতে ওএফএসি ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বিভিন্ন দেশের ৩০–এর বেশি ব্যক্তি ও বিভিন্ন জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর মধ্যে ভারতভিত্তিক চারটি প্রতিষ্ঠান আছে। গত মার্চে ইরান থেকে বিপুল পরিমাণে তেল কেনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণের অভিযোগে একটি চীনা শোধনাগারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ২০১৮ সাল থেকে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আছে শোধনাগারটি।
মন্তব্য করুন