কলাতলীতে চাঁদা না পেয়ে বসতবাড়ি ভাংচুর
কেয়ারটেকারের উপর হামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজার শহরতলীর ঝিংলজা ইউনিয়নস্ত কলাতলী বিকাশ বিল্ডিং এলাকায় ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে না পেয়ে একটি বসতভিটায় হামলা চালানো হয়েছে। এসময় নূর মোহাম্মদ নামের ওই বাড়ির কেয়ারটেকারের উপর মারাত্মক হামলা চালানো হয়েছে। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে দক্ষিণ ডিককুল এলাকার আবু বকরের নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র লোকজন এই হামলা চালিয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন। তবে ৯৯৯ এ কল দিয়ে আরো বড় ধরণের হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এই ঘটনায় ওই বসতভিটার মালিক জিন্নাত আলী বাদি হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, কক্সবাজার কলেজগেইট এলাকার জানারঘোনা এলাকার আবদুল হকের পুত্র জিন্নাত আলী ২০১২ সালে কলাতলী বিকাশ বিল্ডিং এলাকায় ২৯৯৯ রেজিস্ট্রি দলিলমূলে ৫৬ শতক নিষ্টক্টক জমি ক্রয় করেন। এরপর সীমানা দেয়াল নির্মাণ করে ভিটায় বসতবাড়ি নির্মাণ করেন এবং নিরাপত্তার স্বার্থে আনসার নিয়োগ করেন। কিন্তু সম্প্রতি ঈদগাঁও ইসলামপুর নাপিতখালী এলাকার মনজুর আহমদের নেতৃত্বে মোহাম্মদ মুন্না, মহি উদ্দীন, মোজাম্মেল, মিজান, মামুন, কামাল ও কালু মিলে ভুক্তভোগী জিন্নাত আলী থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং চাঁদা না দিলে বসতভিটা দখলের হুমকি দেন। কিন্তু চাঁদা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হন অভিযুক্তরা। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার ভোরে ৪টার দিকে আবু বকরের নেতৃত্বে আকস্মিক ওই বসতভিটায় হামলা চালায়। এসময় বাধা দেয়ায় বসতভিটার কেয়ারটেকার নূর মোহাম্মদের উপর জঘন্য হামলা চালায়। অভিযুক্তরা সবাই বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে তাকে উপর্যুপরি আঘাত করে। এক পর্যায়ে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় মালিক জিন্নাত আলী। তিনি তাৎক্ষণিক জাতীয় জরুরী সেবা নং ৯৯৯ এ কল দেন। এরপর সদর মডেল থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযানে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে হামলা শিকার নূর মোহাম্মদকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বসতভিটার মালিক ভুক্তভোগী জিন্নাত আলী বলেন, আবু বকরসহ অন্যান্য অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা দাবি করে আসছেন। তাদের দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় তারা বিভিন্ন সময় হত্যাসহ নানা হুমকি দিয়ে আসছিলেন। সর্বশেষ বসতভিটাটি দখলের উদ্দেশ্যে ন্যাক্কাজনক হামলা চালিয়েছে।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ইলিয়াছ খান বলেন, ‘৯৯৯ থেকে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে একদল পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
মন্তব্য করুন